বরমচালের কীর্তিমান অবিসংবাদিত জননেতা আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান।

ডেস্ক রিপোর্ট:- তোফায়েল আহমদ। 

বরমচালের কীর্তিমান অবিসংবাদিত জননেতা আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান।

বরমচাল ইউনিয়নের সাবেক ৪ বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।

বরমচাল ইউনিয়নের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বরমচাল ইউনিয়নের মহলাল গ্রামে। 


ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, তারপর যুবক বয়সে তৎক্ষালীন পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগে যোগ দেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন বরমচাল আওয়ামী লীগের,  একসময় কুলাউড়া উপজেলার সহ- সভাপতি ও পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আওয়ামী লীগ এর সভাপতি শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত মৌলভীবাজার  জেলা আওয়ামী লীগ এর কমিটিতে সদস্য হিসেবে যুক্ত হোন পরবর্তীতে আমৃত্যু জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে যুক্ত হোন। একজন মেধাবী ও শিক্ষিত রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। 

১৯৯৮ সালে প্রথমবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন, তারপর একটানা ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। এবং ১৩ বছরের অধিক চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। 

২০১১ ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো পরাজয়ের স্বাধ গ্রহণ করেন, যদিও পরবর্তী ইউপি নির্বাচনে ২০১৬ সালে আবারও চতুর্থ মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। 

প্রথম বার ১৯৯৮-২০০৩

দ্বিতীয় বার  ২০০৩-২০০৫

তৃতীয় বার  ২০০৫-২০১১

চতুর্থ বার ২০১৬-২০২০

উনার জীবনে মোট ৪ বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং প্রায় ১৭ বছরের অধিক সময় বরমচাল ইউনিয়ন অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। যা বরমচাল ইউনিয়নে পূর্বে বা বর্তমানে কোনো চেয়ারম্যান এর ইতিহাস নেই এতো বছর চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করার।

কোনো গ্রাম্য সালিশ কিংবা সামাজিক সমস্যার সমাধানে উনি উপস্থিত হয়ে গেলে আর কোনো মানুষের কিছু বলার থাকত না, কিংবা বলার মতো সৎসাহস ও যোগ্যতা রাখত না!

উনার দুই কথাতেই অনেক জটিল সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। এই ধারার মানুষ ছিলেন আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান সাহেব।

আহবাব চৌধুরী ছিলেন একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কিন্তু, উনি যে যোগ্যতা ডিজার্ব করতেন, তাতে অনায়াসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে কোনো মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব সফলভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা ও সক্ষমতা রাখতেন!

উনার প্রয়াণে কেবল বরমচাল বাসী নয়, গোটা কুলাউড়া উপজেলা ও মৌলভীবাজার বাসী আওয়ামী রাজনীতির একজন সুযোগ্য ও বর্ষীয়ান অভিভাবককে হারিয়েছিলো। 

চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৮ বছর বয়সে সিলেটের একটি হাসপাতালে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে মৃত্যুবরন করেন। মহলাল শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন গোরস্তানে চিরনিদ্রায় শায়িত হোন।

পরবর্তী পোস্ট আগের পোস্ট
Comments
কমেন্ট করুন
comment url
Trulli