মাটির নিচে গ্যাস, মাটির ওপরে রাবার সবই বরমচালের, শুধু নামটাই নেই বরমচালের ভাগ্যে।
মাটির নিচে গ্যাস, মাটির ওপরে রাবার সবই বরমচালের, শুধু নামটাই নেই বরমচালের ভাগ্যে ।
বরমচালের ভৌগোলিক সীমানার ভেতর থাকা সত্ত্বেও বাগানটির সরকারি নাম “ভাটেরা রাবার বাগান”। সেখানে যারা চাকরি করেন, তাদের পরিচয় দেওয়া হয় ভাটেরা রাবার বাগানের কর্মী হিসেবে। অথচ তারা কাজ করছেন বরমচালের বুকে। এই নামহীনতার ভেতরেই লুকিয়ে আছে অবহেলা, যা বছরের পর বছর ধরে চলছে নিঃশব্দে।
এখন আসা যাক গ্যাস এর কথায়।
জায়গা আমাদের, কিন্তু নাম অন্যদের। গ্যাস তোলা হয় আমাদের মাটি থেকে, কিন্তু আমাদের ব্যবহারের কোনো অধিকার নেই। আজও ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের নাম শুনলেই গর্ব নয়, বরং এক গভীর হতাশা জন্ম নেয় বরমচালের মানুষের মনে। কারণ, সেই গ্যাস আমাদের মাটির নিচ থেকে উঠলেও বরমচালবাসীর চুলায় সে গ্যাসের আঁচ পৌঁছায় না।
বরমচালের মানুষ আজ প্রশ্ন করছে আমাদের মাটির নিচের সম্পদ, অতঃচ এই গ্যাস ব্যবহার এবং গ্যাসক্ষেত্রের নাম কোথাও নেই, আমাদের অধিকার কিন্তু কেন? এই গ্যাস উত্তোলনের ফলে আমাদের মাটির নীচ থেকে পানি নেমে যাওয়া সহ আমাদের এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে কিন্তু এর বিনিময়ে আমরা কী পাচ্ছি?
আমরা বরমচালের মানুষ কবে জানব আমাদের মাটি আর সম্পদের সঠিক পরিচয়? কেন আমরা সব সময় প্রান্তে ঠেলে দেওয়া মানুষ?
তাহলে কি বরমচাল এখনও পূর্ব পাকিস্তান?
বরমচালবাসীর কণ্ঠস্বর কি কেউ শুনবে? এই গ্যাস ক্ষেত্র রাবার বাগান কি আমাদের গর্ব হতে পারবে, নাকি চিরদিনের মতো শুধু হতাশার প্রতীক হয়েই থাকবে?
আমাদের বরমচাল যেখানে দেশের সম্পদ আছে, কিন্তু ন্যায্যতার আলো এখনও পৌঁছায়নি।
এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা এখন সময়ের দাবি।

!doctype>