হৃদরোগ কিভাবে তৈরি হয়? এর কারন কি? এটার কি কোনো নির্ধারিত কোন বয়স আছে?

হৃদরোগ বাড়ছে তরুণদের ঝুঁকি।

বর্তমান সময়ে হৃদরোগ বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রোগে পরিণত হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদরোগ এখন আর শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও মানসিক চাপের কারণে তরুণরাও ক্রমেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগ সাধারণত তখনই তৈরি হয়, যখন হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় বা হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। সবচেয়ে সাধারণ ধরনের হৃদরোগ হলো করোনারি আর্টারি ডিজিজ। এতে হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনিতে চর্বি, কোলেস্টেরল ও অন্যান্য পদার্থ জমে নালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদরোগের মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন এবং বংশগত প্রভাব। অনেকে পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়া ও নিয়মিত মানসিক চাপে থাকার কারণেও হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

আগে যেখানে হৃদরোগ সাধারণত ৪০ বছর বা তার পরের বয়সীদের মধ্যে দেখা যেত, বর্তমানে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যেও এ রোগ শনাক্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দ্রুতগতির জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও ধূমপানের প্রবণতা বৃদ্ধিই এর অন্যতম কারণ।

হৃদরোগ প্রতিরোধে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন— প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা, ধূমপান ও মাদক বর্জন, পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, রক্তচাপ ও রক্তে কোলেস্টেরল নিয়মিত পরীক্ষা করা এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার।

সচেতনতা ও জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তনই হতে পারে হৃদরোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়, এমনটাই মত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের।

পরবর্তী পোস্ট আগের পোস্ট
Comments
কমেন্ট করুন
comment url
Trulli